ChinaHigher StudyScholarship

Chinese Government Scholarship



প্রতিবছর চীন সরকার আমাদের দেশের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ব্যাচেলর, মাস্টার্স এবং পিএইচডি পর্যায়ে ফুল বৃত্তি দিয়ে থাকে. চীন সরকার প্রদত্ত এই বৃত্তি সাধারণত দুইভাবে দেয়া হয়ে থাকে- এক. শিক্ষা মন্ত্রণালয়/এম্বাসির মাধ্যমে (ministry/embassy track) এবং দুই সরাসরি ভার্সিটির মাধ্যমে (varsity track). তার মানে, আপনি চাইলে বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধমেও আবেদন করতে পারবেন আবার ভার্সিটির মাধ্যমেও পারবেন. 


তবে দুই পদ্ধতির মধ্যে দুইটি জিনিস একটু ভিন্ন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে করলে আপনাকে বিমানের টিকেট দেয়া হবে এম্বাসি থেকে আর ভার্সিটির মাধ্যমে করলেই সবই ঠিক থাকবে কেবল বিমানের টিকেট আপনাকে করতে হবে. মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে করলে আপনাকে যদি শর্টলিস্ট করা হয়, তাহলে চীন এম্বাসি ঢাকাতে একটি সাধারণ ইন্টারভিউ দিতে হবে. এই ইন্টারভিউতে সাধারণত আপনি চীনে কেন পড়তে যেতে চান, কোন সাবজেক্ট, কোন ভার্সিটি ইত্যাদি বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে. অন্যদিকে, ভার্সিটির মাধ্যমে আবেদন করলে সাধারণত ইন্টারভিউ এর ঝামেলা নেই. 


চীন সরকার প্রদত্ত এই বৃত্তি আপনার লিখাপড়ার যাবতীয় খরচ- ফুল টিউশন ফী, মাসিক চলা-ফেরার খরচ এবং হোস্টেলে ফ্রি সিট দিবে. আর চীনের পড়াশোনার মান অনেক ভালো আজকাল. 


পৃথিবীর বড়, নামকরা এবং গবেষণায় এগিয়ে থাকা ভার্সিটিগুলোর তালিকায় চীনের অনেকগুলো ভার্সিটি রয়েছে. চীনে পড়তে যাবার জন্য আপনি চাইলে প্রজেক্ট ২১১ এবং প্রজেক্ট ৯৮৫ এর মধ্যে থাকা ভার্সিটিগুলো দেখতে পারেন কারণ এই ভার্সিটিগুলোর মান অনেক ভালো. 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবেদন করলে আপনাকে সাধারণত চীন স্কলারশিপ কাউন্সিল (China Scholarship Council- CSC) যেকোনো ভার্সিটিতে ভর্তি করবে এবং অবশ্যই ভালো ভার্সিটিতে. আর আপনি যদি সরাসরি ভার্সিটির মাধ্যমে আবেদন করতে চান তাহলে আপনি সর্বমোট তিনটি ভার্সিটিতে আবেদন করতে পারবেন. 

চীন ব্যাচেলর পর্যায়ে সাধারণত চাইনিজে পড়াশোনা হয়. সেই ক্ষেত্রে ব্যাচেলর প্রোগ্রামের জন্য কোনো ইংলিশ টেস্ট না হলেও চলবে. আবার মাস্টার্স এবং পিএইচডিতে যারা আবেদন করবেন তাদের জন্য নিজেদের ব্যাচেলর্স/মাস্টার্স ইংলিশ মিডিয়াম এ ছিল এমন একটি ডকুমেন্ট দিতে পারলেই ইংলিশ টেস্ট স্কোর অনেক ক্ষেত্রেই আপনাকে দেয়ার প্রয়োজন পরবে না. তবে এই সব ক্ষেত্রে আপনার যা যা প্রশ্ন আছে, তার সবই আপনি সংশিষ্ট ভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল অফিস এ ইমেইল করে জেনে নিবেন. 



আর যা যা ডকুমেন্ট চায় যেমন সার্টিফিকেট, মার্কশীট ইত্যাদি এই জিনিসগুলো নোটারি করে জমা দিবেন. সব ডকুমেন্টের ফটোকপিগুলো করবেন অফসেট পেপার এ৪ সাইজে. 



আর মেডিকেল ফিটনেস এর জন্য যে নরমাল চেস্ট এক্স-রে এবং নরমাল ব্লাড টেস্ট লাগে তা যেকোনো একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার কিংবা সরকারি হাসপাতাল থেকে কম খরচে করে নিবেন. মোটেও কারো পরামর্শে বেশি টাকা দিয়ে অন্য কোথাও করতে যাবেন না. আর মেডিকেল ফিটনেস এর যে ফরমটি আছে তা এমবিবিএস পাস করা এবং রেজিস্টার্ড যে কোনো ডাক্তার থেকে স্বাক্ষর করিয়ে নিলেই হবে. 

বর্তমানে চীনের ভার্সিটিগুলোতে এবং আমাদের দেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চীনের এই বৃত্তির আবেদন প্রক্রিয়া চলছে. তাই এখনই দেরি না করে, গুগলে অনুসন্ধান করুন এবং আবেদন করুন. সবার সফলতা কামনা করছি.

নূর-আল-আহাদ
বিবিএ (ইউনিভার্সিটি অফ ঢাকা) ১৪ তম ব্যাচ
এমবিএ (ইউনিভার্সিটি পুত্রা মালয়েশিয়া)
ফিনান্সিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং গবেষক (জাপান)